সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় হত দরিদ্র মানুষের মাঝে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে নির্মাণ করা হয়েছে ২০ শয্যা বিশিষ্ট পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হাসপাতাল। শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে এর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
এদিকে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৮ লাখ মানুষের মাঝে উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত কমপ্লেক্সটিতে নেই কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ও প্যাথলজি বিভাগ।
কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নত যন্ত্রপাতি কমপ্লেক্সটিতে সরবরাহ করা হলেও বর্তমানে তা ব্যবহার অনুপযোগি। রোগীদের বেশি ভাগকে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যখন এমন স্বাস্থ্য সেবার মান ঠিক সেই সময়ে বেসরকারী উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্মিত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ হাসপাতালটি মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবায় আশার আলো দেখাচ্ছে। প্রত্যন্ত জনপথ সুন্দরগঞ্জ-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বামনডাঙ্গা-রামদেব গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে।
এই হাসপাতালটি স্থানীয় মানুষ তথা সুন্দরগঞ্জের মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেছেন। হাসপাতালটি নিয়ে ভবিষৎ পরিকল্পনা কি সে বিষয়ে দৃষ্টি আর্কষন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতাল হলেও ভবিষ্যতে বেশি শয্যায় উন্নীত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে ডায়ালেসিস, সকল প্রকার প্যাথলজি টেস্ট। সার্বক্ষণিক থাকবে এম্বুলেস সেবা। পরিকল্পনা রয়েছে কার্ডিওলজিস্ট ইউনিট চালু করা। তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের কোন বাইপাস ওপারেশন হয় না। অনেকেই টাকা-পয়সা খরচ করে ঢাকা বা ভারতে যায়। আমি এই হাসপাতালে কার্ডিওলজি ইউনিট চালু করবো। পরিকল্পনা রয়েছে ক্যান্সার ইউনিটও খোলার। এছাড়া যে সকল গর্ভবতী মা থাকবেন তাদেরকে ১টি করে কার্ড দেওয়া হবে যাতে তারা গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চার মা হওয়া পর্যন্ত পরবর্তীতে বাচ্চা জন্মের ৩ মাস পর্যন্ত সার্বক্ষনিক চিকিৎসকের সহযোগিতা পাবে। আশা করছি এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা পেলে হাসপাতালটি নার্সিং ইন্সটিটিউট চালু করা হবে। যাতে করে এলাকার গরীব শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করে নিজেরা সাবলম্বি হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে।
Leave a Reply