সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন মোঃ আশরাফুল আলম সরকার লেবু। মাধ্যমিক স্কুল থেকে জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার অন্যতম ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে রাজনীতি করে যান। স্কুল কলেজের রাজনীতি পেরিয়ে যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন।স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন । এরপর নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। ২০২২ সালের ১১জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কর্মীবান্ধব এ নেতা সাংগঠনিক তৎপরতায় সুন্দরগঞ্জ আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করেন এবং তার নেতৃত্বকে সুসংহিত করেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ইতিমধ্যে অন্যতম নৌকা প্রতীক মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন।তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সুন্দরগঞ্জের প্রতিটি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঠ চোষে বেড়াচ্ছেন। তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এই আসনকে কেন্দ্র করে সরকারের টানা তিন মেয়াদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মাঝে তুলে ধরতে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সরকারের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা, লিফলেট বিতরণ,পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও উঠান বৈঠক এবং ব্যাপক গনসংযোগ করে চলেছেন। যুব ও ছাত্রদের মাঝে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নাসের মিরান বলেন, সরকার অনেক উন্নয়ন করেছেন কিন্তু তৃণমূলের সাধারণ মানুষ অনেক কিছু জানে না।

সুন্দরগঞ্জে আওয়ামীলীগের অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফুল আলম সরকার লেবুর আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচির মাধ্যমে তুলে ধরছেন জনগণের মাঝে। লেবুর মতো কোন নেতাকর্মী সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে নাই।এসব উন্নয়নমুলক কর্মকন্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পেরেছে। উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওসমান আলী সরদার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নেতার প্রয়োজন। আশরাফুল আলম সরকার লেবু স্মার্ট, যোগ্য নেতা বলে মনে করছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীগণ। গাইবান্ধা -১ আসনে লেবুর কোন বিকল্প নেই।

আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশ এখন উন্নত রাষ্ট্র ও স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে। আওয়ামীলীগের উন্নয়ন তৃণমূল মানুষকে জানানোর জন্যই আমার নিরলস আয়োজন। স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের জন্য সৎ, যোগ্য, তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন। দেশের চলমান উন্নয়নকে ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। উপজেলার বেশ কয়েকজন সুধী জনের সাথে কথা হলে তারা জানান,লেবুর সরকারের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

রাজনৈতিক প্রসঙ্গে লেবু বলেন,আমি ছাত্র রাজনীতি করে উঠে এসেছি। সাধারণ মানুষের চোখ এবং মুখের ভাষা বুঝি।উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি । নেত্রী মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হলে বঞ্চিত নেতাকর্মী ও অবহেলিত সুন্দরগঞ্জের মানুষের জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করবো। অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকার মান উন্নত করা হবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দলকে আরও শক্তিশালী করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে তার নেতৃত্বের মূলে আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে শক্তিশালী হিসেবে নেতাকর্মীদের আরও সুসংগঠিত করে গড়ে তুলতে হবে ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য । সেই নির্বাচনে আমরা সারাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যে উন্নয়নের ধারায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে, তা অব্যাহত রাখতে সাংগঠনিকভাবে আমাদেরকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। এদিকে উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই ভোট প্রার্থনা করছেন। তারা মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে চালাচ্ছেন জোর তদবির। তবে জাতীয় রাজনীতির যেকোন মেরুকরণে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক দেবে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে আসনটি নেত্রীকে উপহার দিতে চাই।