শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

তেঁতুলিয়া ইউএনও’র পরিচয়ে ফোন দিয়ে প্রতারক চক্র ২জন আইসক্রিম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে উধাও

আহসান হাবিব তেঁতুলিয়া প্রতিনিধি, পঞ্চগড়:
  • Update Time : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৯৫ Time View

ইউএনও’র পরিচয় দিয়ে সুকৌশলে দুই আইসক্রিম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার হয়েছে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন প্রতারণার শিকার আইসক্রিম ব্যবসায়ীরা। শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে সর্ব সাধারণকে এ ধরণের প্রতারকদের কাছ থেকে সতর্ক থেকে সচেতন হতে বলেছেন উপজেলা প্রশাসন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শনিবার একটি অপরিচিত মোবাইল থেকে প্রতারক চক্রের ফোন পান শাহিন হোসেন। ফোনে প্রতারক চক্র তেঁতুলিয়ার ইউএনও পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার কি আইসক্রিম কারখানা রয়েছে। এ কারখানার বিআরটিএ ও স্যানিটারি লাইসেন্স আছে কীনা, না থাকলে নতুন নিয়ম এসেছে। কারখানার কাগজপত্র না থাকলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অন্যথায় ৬ মাসের সাজা হবে। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা বিকাশে পেমেন্ট করলে লিস্ট থেকে নাম কেটে দেয়া হবে। পরে আইসক্রিম কারখানার মালিক শাহিন ভয় পেয়ে টাকার অংক কমাতে কমাতে ১০ হাজার টাকা নগদে পাঠিয়ে দেয়ার পর থেকে ওই প্রতারকের মোবাইল নম্বর পাচ্ছেন। পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এদিকে ফেরদৌসী আরা বেগম নামের এক স্যানিটারি পরিদর্শকও পেয়েছিলেন প্রতারকের ফোন। কিন্তু তিনি সচেতন থাকায় প্রতারণার শিকার হননি। ফেরদৌসি আরা বেগম জানান, আমাকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমার নাম পদ বলে জানান আমি ইউএনও বলছি। পরে আমার কাছে ওই ব্যসায়ীর নম্বর চাইলে সাথে সাথে দেই। কিন্তু পরে ফোন নম্বর মিলিয়ে দেখি নম্বরটি ইউএনএও মহাদয়ের নয়। পরে বিষয়টি আমি ওই ব্যসায়ী ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করি।

আইসক্রিম ব্যবসায়ী শাহিন হোসেন বলেন, ওই প্রতারক চক্র যেভাবে ইউএনওর পরিচয় দিয়ে ফোন করেছে তাতে বুঝতেই পারিনি সে প্রতারক। সে ফোন দিয়ে আমার কারখানার বিভিন্ন সমস্যা ও জরিমানার কথা বলে। পরে ভয়ে আমি টাকা পাঠাই। কারা এ ধরণের কাজ করছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক। এসব প্রতারকদের বিচার চাই।

একই কথা জানান আল-আমিনের। তিনি জানান, আমাকে স্যানিটারী আপা মোবাইলে জানায় ইউএনও ফোন দিবে। আমি যেন ভালোভাবে কথা বলি। কিছুক্ষণ পর মোবাইলে কল আসলে তা রিসিভ করলে ইউএনও বলছি বলে পরিচয় দেন। ফোনে তিনি অনেক ভয়ভীতি ও মোটা অংকের জরিমানার কথা বলেন। ভয়ে টাকা পাঠিয়েছি। পরে জানতে পারলাম আমার সাথেও প্রতারণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি।

রাতে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, প্রতারক চক্রের কাছে পৃথকভাবে দুজনের প্রতারণা হওয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। প্রতারক চক্র সুকৌশলে ইউএনও’র পরিচয় ব্যবহার করে প্রতরণা করেছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্ব সাধারণকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category