সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে জীবিত ব্যক্তিকে নামে মৃত্যু সনদ দেওয়ার অপরাধে উপজেলার ১১নং সোনাতনি ইউনিয়নের সচিব হোসেন মোহাম্মদ সরোয়ার্দিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এর আগে জীবিত ব্যক্তিকে নামে মৃত্যু সনদ দেওয়ার অপরাধে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করলে গতমঙ্গলবার দুপুরে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামি হোসেন মোহাম্মদ সরোয়ার্দিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন শাহজাদপুরে চৌকি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম রব্বানী। আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারি(পেশকার) মোঃ আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এরআগেও হুমাইরা (১৬) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে সোনাতনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ দেওয়া হয়। সে মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক হয়।
আদালত সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বাসিন্দা রহম আলির ছেলে মোঃ বাবু মিয়া একটি মাদক মামলায় কারাগারে থাকা কালিন গত ৪ অক্টোবর আদালতে বাবু মিয়ার ছোট ফুপু ডালিয়া খাতুনকে মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে তার দাফন কাফনের জন্য মাদক মামলার আসামির বাবুর জামিনের জন্য আবেদন করে। মৃত্যু সনদটি আদালতের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের উপড় তদন্তভার দেন আদালত। এতেই বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। যে ডালিয়া খাতুনকে মৃত বলা হয়েছে তিনি উক্ত ইউনিয়নের ছোট চামতারা গ্রামের মোহাম্মদ আলির স্ত্রী মোছাঃ ডালিয়া খাতুন এখনো জীবিত আছেন। অর্থাৎ আদালতে জমা দেওয়া ডালিয়া খাতুনের মৃত্যু সনদটি ভুয়া বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
আদালত পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ইউপি সচিব হোসেন মোহাম্মদ সরোয়ার্দি ও মাদক মামলার আসামি বাবুর নিকট আত্বীয় আমজাদকে অভিযুক্ত করে মামলা রুজু করেন। এ মামলার অপর আসামি আমজাদ পলাতক আছে।
এ ব্যাপারে সোনাতনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জানান. ঐ মৃত্যু সনদে আমি স্বাক্ষর করিনি। ঐ স্বাক্ষর আমার কিন্তু ওটা স্ক্যান করা স্বাক্ষর।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, সাজাপ্রাপ্ত হলে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে পাসপোর্ট করতে এসে হুমাইরা (১৬) নামে কিশোরী আটক হয়। সে রোহিঙ্গা কিশোরী উপজেলার সোনাতনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ গ্রহণ করেন। পাসপোর্ট কর্মকর্তা কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
Leave a Reply