সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২২ অপরাহ্ন

সাবেক স্ত্রীর পরকীয়া; শাশুড়িকে হত্যা করে কারাগারে জামাই!

আহসান হাবিব পঞ্চগড়
  • Update Time : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২১ Time View

পঞ্চগড় তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার পর বাড়ির উঠানে থাকা পরিত্যাক্ত রিং স্লাবের নিচে মাটি চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর পরেই তৎপর অভিযান পরিচালনা করে সরাসরি হত্যার সাথে জড়িতে নিহতের জামাইসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার মাটি চাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ সহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে ঘটনার ৮ ঘন্টার মাথায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই সময় আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃহ আলামত জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। পরে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

আসামীরা হলেন, নীলফামারীর জলঢাকা বালাগ্রাম চন্ডীহাটি এলাকার মৃত খগেশ্বরের ছেলে ও চিন্তা ঋষির জামায় মুকুল চন্দ্র রায় (৩৬) ও একই জেলার ডিমরার উত্তর সোনাখুলি এলাকার দেবদাস ঋষির ছেলে ও চিন্তা ঋষির নাতনী জামায় মহাদেব ঋষি (২৫)।

পুলিশ জানায়, গত ৭ বছর আগে পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে চিন্তা ঋষির মেয়ে রেনুর সাথে বিয়ে হয় মুকুলের। এর মাঝে বিষয়টি প্রকাশ পেলে রেনু মুকুলকে তালান দেন। এদিকে রেনুর কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে আল আমিন নামে এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জিড়য়ে পড়ে। এর মাঝে তারা দেবীগঞ্জে আসলে মুকুল বিষয়টি জানতে পারে। আর এই পরকিয়ার জেরে রেনুকে হুমকি দিয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটনো হয়েছে।

আরো জানা যায়, ওই ভিক্ষুক বৃদ্ধাকে প্রথমে গলা কেটে ও শরীরে আঘাত করে হত্যার পর মহাদেব ঋষির সহায়তায় পরিত্যাক্ত রিং স্লাবের ফেলে মাটি চাপা দেয়া হয়।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার মাটি চাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা দূর্গন্ধ পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর আত্বীয়-স্বজনসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে থানা হেফাযতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে জিজ্ঞাসাবাদে থাকা এই দুই আসামী হত্যাকান্ডের বিষয়টি শিকার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে নিহতের মেয়ে অভিযোগ করলে হত্যা মামলা দায়েরের পর তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, ঘটনাটি প্রায় ক্লুলেস অবস্থায় ছিলো। তার পরেও আমরা তৎপর হয়ে মাঠে নেমে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসামী দুইজনকে গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি শ্বিকার করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category