নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মুজাহিদপুর গ্রামে নাজমা আক্তার (২০) এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে।।
গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রাতে ওই গৃহবধূকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার উপজেল মুজাহিদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই নারীর স্বামী রাসেল, দেবর মামুন, শ্বশুর ফখরুল ইসলাম ও শাশুড়ি সফুরা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ বছর আগে মুজাহিদপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে মো. রাসেলের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাসেলকে কয়েক দফায় বিভিন্ন কাজে ২ লাখ টাকা যৌতুক দেয় নাজমার পরিবার। গত ৬ নভেম্বর সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র নবায়ন করতে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন রাসেল। বাবার বাড়ি থেকে শনিবার সকালে টাকা না নিয়েই স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন নাজমা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দুপুরে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙতে থাকেন রাসেল। নাজমা তাঁকে বাধা দিতে গেলে রাসেল তাঁর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে নাজমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে নাজমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইস্তিয়াক হোসেন জানান, আগুনে নাজমার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর বুক, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফোসকা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হতে পারে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক স্পেস ল্যাব চৌধুরী প্রমোজ জানান, দাবিকৃত টাকা না পেয়ে স্বামী রাসেল এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের করেন মামলা নং ১৯।
Leave a Reply