যেসব অপরাধে জরিমানা কিংবা অনধিক এক বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়ে থাকে, সেসব অপরাধকে লঘু অপরাধ বলা হয়। আর প্রবেশন বলতে কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে, কারারুদ্ধ না রেখে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে আবদ্ধ না করে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ প্রদান করাকে বোঝায়। নিযুক্ত করা হয় একজন প্রবেশন কর্মকর্তা। সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রবেশন কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।
শাহজাদপুরে ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তিকে শর্ত স্বাপেক্ষে প্রবেশন মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো। শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম রব্বানী মো. আলমাহমুদ ও রাজন হোসেন নামের দুই ব্যক্তিকে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছিলেন।
১৩ নভেম্বর প্রবেশনের একবছর পূর্ন হওয়ায় এবং আদালতের বেধে দেওয়া শর্ত মেনে চলায় এখন তারা মুক্ত।
সোমবার সকালে আদালতে হাজির হলে এদিন আদালতের পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পাবনার বেড়া উপজেলার আলমাহমুদ ও রাজন হোসেন শাহজাদপুর থানার মাদক মামলায় অভিযুক্ত ছিলো। শাহজাদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মামলা চলমান অবস্থায় সাজাপ্রাপ্ত হলে আইনজীবীর মাধ্যমে প্রবেশনে মুক্তির আবেদন করলে আদালত তাদের প্রবেশনে শর্ত স্বাপেক্ষে ১ বছরের জন্য মুক্তি দেয়
শাহজাদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ব্রেন্চ সহকারি মো. আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রবেশনে মুক্ত রাজন হোসেন বলেন ভুল করে একটা সময় ভুল পথে ছিলাম।আদালত আমাদেরকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন সে সুযোগে আমরা সঠিক পথে আসছি।মাদকের বিরোধিতা করি আমরা। মাদক ছেড়ে ভালো আছি।আমরা আদালতের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
লঘু অপরাধের দণ্ড হিসেবে প্রবেশনে মুক্তিতে বদলে যাচ্ছে অপরাধীর জীবন। সাজাপ্রাপ্ত হলেও কারাগারের পরিবর্তে নিজ বাড়িতে আদালতের নির্দেশনা মেনে জীবনকে বদলে নিচ্ছেন তারা। সময়ের ব্যবধানে এখন তারা মাদক বিরোধী আদালতের এমন উদ্যোগে খুশি প্রবেশনে মুক্তি প্রাপ্তরা।
Leave a Reply