রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই অগ্রাধিকার। তবে চলমান পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ নয়।
বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোনো ঘটনা ঘটছে না বলেও জানান গোয়েন লুইস।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে শনিবার (২৭ জানুয়িারি) মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে বর্তমানে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, সেটা আজ হঠাৎ করে না, বেশ কিছুদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগ থেকেই সদাসতর্ক আছে। সেখানে কিছুদিন পর পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছি। আমি মনে করি, তারা আমাদের সঙ্গে আছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যদি মিয়ানমার‘ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।
মন্তব্য করুন