সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এই সরকার জনগণের সব অধিকার হরণ করছে। এই সরকারের আমলে গণতান্ত্রিক অধিকার অবশিষ্ট নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আপস চলবে না। আপস করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনটিই হচ্ছে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপন্থী। সবাইকে ভাবতে হবে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন পথ তৈরি করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধ আইন সংবিধান পরিপন্থী একটি কালো আইন। পরিপূর্ণ অগণতান্ত্রিক এই আইনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করছে। সংবিধান প্রদত্ত অধিকার আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন পরিপূর্ণ ব্যর্থ। তারা দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, রাজনীতিকে ধ্বংস করতেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই ইসি থাকলে মুক্ত রাজনীতি করা যাবে না। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বকারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন। শাসকদলগুলো নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রেখে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে। এই সরকার উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে প্রকৃত অর্থে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজনৈতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিবন্ধন আইন বাতিলে সোচ্চার হতে হবে।
পরিষদের আহ্বায়ক ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ইউডিপির চেয়ারম্যান গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কো-চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমীন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন