জানা গেছে,পাইলট রাজু প্রতিদিন এই নদী পথ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তুলে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। সম্প্রতি তার এমন একটি ঘটনা ধরা পড়েছে।
তিনি গত দুদিন আগে পরশুরাম নদী দিয়ে রামপালমুখি মেসার্স এস এস এন্টার প্রাইজ নামক একটি মালবাহী নৌযান থামিয়ে নিজেকে বিআইটব্লিউটিএর পাইলট অফিসার পরিচয় দিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন।
রাজু দাবি করে বলেন,আগামীকাল খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম আছে তাই রাতে কোন মালবাহী নৌযান রামপাল যেতে দেওয়া যাবে না। যদি যেতে হয় তবে তাকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। বাধ্য হয়ে নৌযানের মাষ্টার (ম্যানেজার) শাহাব উদ্দিন তাকে ১০ হাজার টাকা নগদ চাঁদা দিয়ে তবেই ছাড়া পান।
পরবর্তীতে তারা বিষয়টি খুলনার চীফ পাইলট অফিসার আফসারকে জানালে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেও অদ্যাবধি কোন তদন্ত করেন নি।
উল্লেখ্য যে, পাইলট রাজু ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন সিবিএ নেতার আর্শীবাদ নিয়ে প্রতিদিন মংলা অঞ্চলের নদী পথে মালবাহী নৌযানে চাঁদাবাজী করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিএস আশরাফ জানান, এ বিষয়ে কেউ তার কাছে কোন অভিযোগ করেন নি। তাই তিনি বিষয়টি জানেন না। এ দিকে পাইলট মন্জুর ই রাসুল রাজুর সাথে কতঅ বলার জন্য তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। পাইলট রাজুর ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। ভুক্তভোগি নৌযান মালিকরা এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের বিভাগীয় পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন