সাম্প্রতিককালে আওয়ামী লীগ জোট সরকারের আমলে নৌ খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়। বর্তমান সরকার নৌ পথে চলাচলকারী সকল প্রকার নৌযান সমূহকে শৃংখলা ও বিধি মোতাবেক আইনের মধ্যে আনার জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিগত সময়ে ছোট বড় অসংখ্য নৌযানের রেজিষ্ট্রেশন ও সার্ভে সম্পন্ন ও রুট পারমিট গ্রহণের মাধ্যমে নৌ পথে শৃংখলা ফিরে আসছে। স্পীডবোট থেকে বড় লঞ্চ সকল নৌযানেই এখন রেজিষ্ট্রেশন, সার্ভে সনদ ও রুট পারমিট পাওয়া যায়।
সকল প্রকার নৌযান সমূহকে সার্ভে, রেজিষ্ট্রেশন ও রুট পারমিটের আওতায় এনে নিয়মতান্ত্রিক চলাচল নিয়ন্ত্রনসহ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাৎসরিক সার্ভে সনদ নবায়নে একজন নৌযান মালিককে আয়কর, কঞ্জারভেন্সি, সার্ভে ফি সহ রুট পারমিট ফি দিতে হয়।
এর মধ্যে অভ্যন্তরীন নৌপথে চলাচলের জন্য নৌযান সমূহ থেকে কঞ্জারভেন্সি ও রুট পারমিট ফি আদায় করে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু খোদ বিআইডব্লিউটিএ এর অনিবন্ধিত নৌযান রয়েছে শতাধিক। এ সকল নৌযানের কোন প্রকার বৈধ সার্ভে ফিটনেস সনদ নেই বহুকাল ধরেই।
বিআইডব্লিউটিএ এর ড্রেজার, ড্রেজার সহায়ক নৌযান সমূহ, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ, উদ্ধারকারী নৌযান ও অন্যান্য ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক নৌযান এখনো অনিবন্ধিত রয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটি এ অন্যান্য নৌযান সমূহ থেকে কঞ্জারভেন্সি ও রুট পারমিট আদায় করলেও নিজেদের বেলায় শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিআই ডব্লিউটিএ এর এসব অবৈধ নৌযানে চলাচল করেন।প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক সকল নৌযানের রেজিষ্ট্রেশনের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না বিআইডব্লিউটিএ।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
কঞ্জারভেন্সি ও রুট পারমিট আদায়েও চলছে দুর্নীতির খেলা। নৌ পথে চলাচালকারী নৌযান সমূহকে মাঝ নদীতে আটকিয়ে কঞ্জারভেন্সি ও রুট পারমিট আদায়ের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও হয়রানি করছে বিআইডব্লিউটিএ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী গন।
একাধিক নৌযান মালিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, ডিজি শিপিং এর পরিদর্শকগন তাদের পরিচয় দিয়ে নিয়মিত নৌযান পরিদর্শন করে কাগজ পত্র চেক করেন। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ এর লোকজন কোন পরিচয় না দিয়ে নৌযান সমূহে উঠে কঞ্জারভেন্সি ও রুট পারমিট এর নাম করে নৌযানের নাবিকদের হয়রানি করেন। তারা বেনামে নৌযান সমূহে উঠে চাঁদা দাবি করেন।
বিগত সময়ে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী লঞ্চের রুট পারমিটের বাধ্যকতা থাকলেও বর্তমানে সকল প্রকার নৌযানের রুট পারমিট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর নৌযানের নেই কোন রুট পারমিট। রুট পারমিট নিয়ে মালিকদের মধ্যে অসম প্রতিযোগীতা করে অর্থ লুট করছে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিট্রা বিভাগ।
অভ্যন্তরীন নৌযান অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী নৌযানের রেজিষ্ট্রেশন, সার্ভে, নিরাপদ নাবিক, দুর্ঘটনার তদন্ত, টনেজ ঘোষনা ইত্যাদি কারগরি দায়িত্ব সমূহ দেয়া হয়েছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরকে।
কিন্তু আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে টাকার বিনিময়ে বিআই ডব্লিউটিএ এর সার্ভে ও উন্নয়ন শাখা হতে অবৈধভাবে নৌযানের ধারন ক্ষমতার প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অগ্রসরমান শিল্পখাত হচ্ছে নৌযান নির্মাণকারী ডকইয়ার্ড, শিপইয়ার্ড, শিপবিল্ডার্স সমূহ। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ এর ফোরশোর সনদ না পাওয়ায় নবায়ন হচ্ছে না শতাধিক ডকইয়ার্ড, শিপইয়ার্ড, শিপবিল্ডার্স। ফলে সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব।এ বিষয়ে
এই বিষয়ে নৌ-নিট্রা বিভাগের পরিচালক জয়নাল আবেদীনের সাথে কথা বললে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
মন্তব্য করুন