আগামী বছর ব্রিটেন জি-৭ এর প্রধান হওয়ার পর কোভিড-পরবর্তী বিশ্বকে এক ছাতার নিচে আনবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এছাড়া মহামারীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিশ্বের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। শনিবার জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন বরিস। এএফপি।
মহামারী প্রতিরোধের জন্য পাঁচ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি। বরিস বলেন, যতক্ষণ না আমরা ঐক্যবদ্ধ হব এবং আমাদের সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই না করব, ততক্ষণ আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। ফলে এখনই সময় মানবতার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়া এবং কুৎসিত বিভক্তি মেরামত করা।
এর আগে বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রক্রিয়াকে জনসন বিভাজন বাড়িয়ে দেয়ার পদ্ধতি বলে বর্ণনা করেছিলেন। তখন তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন, বিশ্বের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যন্ত্রপাতি ও ওষুধ মজুত করার পরস্পর কলহের পরিস্থিতি রয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা দেখেছি এমন একটি পদ্ধতিতে জাতীয়তাবাদী অগ্রাধিকার ফিরে এসেছে, যা বিশ্বায়ন ও আন্তর্জাতিকতাবাদে বিশ্বাসীদের জন্য খুবই হতাশাজনক।’
উল্লেখ্য, বরিস জনসন ও নাইজেল ফারাজের উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রচারণার কারণে ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হতে হয়েছে এবং ট্রাম্পের মতো গোঁড়া স্বদেশবাদীর সঙ্গে তার সম্পর্ক চমৎকার। তারা পরস্পরকে মহৎ মানুষ বলে সম্বোধন করে থাকেন।
এদিন কোভ্যাক্স নামের করোনাভাইরাস টিকার জন্য অনুদান দেয়ারও ঘোষণা দেন বরিস।
আগামী ৪ বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩৪ কোটি পাউন্ড অনুদানের ঘোষণা দেন তিনি, যা সংস্থাটিতে ব্রিটেনের দেয়া নিয়মিত দানের ৩০ শতাংশ বেশি। জুন মাসে ব্রিটেনের আয়োজিত এক সম্মেলন থেকে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভিকে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফান্ড দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম ব্রিটেন। বরিস জনসন নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে ভ্যান্টিলেশনে চলে যান এবং শেষ পর্যন্ত সুস্থ হন। এ পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৪২ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন