আপদ মস্তক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসাবে সর্ব মহলে পরিচিত হয়েও তিনি পেয়েছেন জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার। লবন প্রকল্পের মুখ্য কর্মকর্তা হওয়ায় বিসিক ভবনে বসেই প্রতি কর্ম দিবসে অবৈধ আয় করেন ৫০/৬০ হাজার টাকা। সে হিসাবে মাসের ২০ কর্ম দিবসে তার অবৈধ আয় দাঁড়ায় ১০ লক্ষ টাকা। এই টাকায় তিনি অভিজাত জীবন যাপন করেন।
নামে -বেনামে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কিনেছেন ৫/৬ টি ফ্ল্যাট ও প্লট। শিল্প মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপহার,উপঢৌকন দিয়ে খুশি রেখে লবন প্রকল্পের সর্বনাশ ঘটিয়েও বহাল রয়েছেন চাকুরীতে। ভাগ্যবান এই কর্মকর্তার নাম মো: সরোয়ার হোসেন।
তিনি বিসিক প্রধান কার্যালয়ে উপ মহাব্যবস্থাপক পদে কর্মরত আছেন। লবন সেল বিভাগের প্রধান ও সম্প্রসারণ বিভাগের দায়িত্বে থেকে তিনি বিসিক ভবনে ঘুস -দুর্ণীতির দোকান খুলে বসেছেন। সয়ং চেয়ারম্যানও তার কাছে অসহায়।
কথায় কথায় তিনি কর্মচারিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বিসিকের কর্মচারি ইউনিয়ন নেতাদের অপমান অপদস্ত করে তাদের কর্মসূচিও পন্ড করে দিয়েছেন। জাতির জনকের ছবি ও জাতীয় শ্লোগান ‘জয় বাংলা ‘সম্বলিত ব্যানার ভাংচুর ও ছবি অবমাননার নেতৃত্ব দিয়েছেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের নিজেস্ব আয় থেকে পেনশন স্কীম চালুর ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নানা তালবাহানা করেছেন।
কর্মচারিদের হয়রানীমুলক বদলী,সাময়িক বরখাস্ত,কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন। এক কথায় বিসিক অফিসার সমিতির নেতার পরিচয়ে তিনি প্রশাসনিক স্টিম রোলার চালাচ্ছেন অধ;স্তন কর্মচারিদের ওপর।এই কর্মকর্তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বিসিকে চাকুরীরত প্রায় দেড় হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, শিল্প মন্ত্রীর পিএস ,এপিএসের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক গড়ে তুলে গোটা বিসিকে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। সরকারী চাকুরী শৃংক্ষলাবিধি ভংগ করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দু‘হাতে অবৈধ অর্থ উপার্জন করছেন। তার বিরুদ্ধে ফুুঁসে উঠেছে কর্মচারি ইউনিয়নের নেতারা।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপ মহাব্যবস্থাপক সরোয়ার হোসেন বলেন, সকল তথ্য মিথ্যা। যার কোন সত্যতা নেই। প্রয়োজনে আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন।
মন্তব্য করুন