আগামী ২৭/২/২০২৪ ইং তারিখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ডা: মো: এমদাদুল হক তালুকদার নিয়মিত অবসরে যাবেন। সুত্রমতে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা থাকার কারণে ছাড়পত্র না পাওয়ায় তিনি নিয়মিত মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি পাননি। তবে তিনি এ অবস্থায় চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পেতে দেন দরবার ও তদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেতে পরিচালক পর্যায়ের বেশ কয়েক জন জুনিয়র/সিনিয়র কর্মকর্তা দৌড়ঝাপ করছেন বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, পরিচালক মো: জাকির হোসেন, পরিচালক আবু সুফিয়ান, পরিচালক বরুণ কান্তি দত্ত, পরিচালক মলয় কুমার সুর প্রমূখ। তবে এরা সকলেই গ্রেডেশনে বর্তমান পরিচালক প্রশাসন ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের জুনিয়র।
তথ্যমতে, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের ইচ্ছা তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না পেলে যাতে তার পরবর্তী সিনিয়র ডা: মোহাম্মদ রিয়াজুল হক যেন মহাপরিচালকের দায়িত্ব না পান। কারণ তার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে যে সকল অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে তার প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক প্রশাসন। কিন্তু গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কর্মকর্তা ডা: এমদাদুল হকের ক্ষমতার প্রভাবে ধোপে টেকেনি ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের কোন আপত্তি। ডা: মো: এমদাদুল হকের ধারণা তার পরে যদি পরিচালক প্রশাসন মহাপরিচালকের দায়িত্ব পায় তাহেল তার সকল অনিয়ম-দূর্নীতি ফাঁস হয়ে যাবে। তাতে তিনি বিপদে পড়ে যাবেন।
এখন পরিচালক ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে যে, তিনি নন-ক্যাডার অফিসার।
অথচ: বিষয়টি শতভাগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং অপপ্রচারমাত্র। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর বিগত ১৫/৯/১৯৯৪ ইং তারিখের সম/ননি/১-৯/৯২-১৩৩ নং প্রঞ্জাপনে সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসির) ২৬/৪/১৯৯৩ ইং তারিখের সুপারিশে অন্যদের সাথে ১৯৯১ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ২৮৫০-৭ ী ১২৫-৩৭২৫-ইবি -১১ ী ১৩০-৫১৫৫ টাকা বেতনক্রমে পশুসম্পদ ক্যাডার পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তার পর হতে তিনি যথা নিয়মে ডিপিসির মাধ্যমে এবং সর্বশেষ এসএসবির (সুপ্রিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের) মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে পরিচালক প্রশাসনের পদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এছাড়া ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের বিরুদ্ধে অন্যান্য যে সকল প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে তার কোনটিরই সত্যতা মিলেনি। কারন, তিনি চট্রগ্রামের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থাকালীন সময়ে কোন অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন না । বিদেশ হতে গরুর /মহিষের মাংশ আনায়নের বিষয়ে যে সকল অপপ্রচার করা হচ্ছে সেটিও ভিত্তিহীন বলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন। কারণ, বিদেশ হতে মাংশ আমদানী করতে হলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যে সকল প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচার করা হচ্ছে তা শতভাগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
মন্তব্য করুন