গণপূর্তের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার নিজেকে পীর এবং পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিলেও তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট পোস্টিং বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন। অতিরিক্ত প্রধাক প্রকৌশলী শহৗদুল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা সাহা ও নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নুর নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি। সোমবার ২৩জন কর্মকর্তার বদলিতে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে গণপূর্তে গুঞ্জন রয়েছে।
গণপূর্তে পোস্টিং বাণিজ্যের কারনে মন্ত্রণালয় প্রধান প্রকৌশলীর সব ধরনের বদলির ক্ষমতা স্থগিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। সম্প্রতি সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নির্বাহী প্রকৌশলী পদ পর্য়ন্ত বদলির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিছুদিন অপেক্ষা করেই প্রথম দফায় ২৩জন সহকারী প্রকৌশলী পদে পোস্টিং দেয়া হয়। এতে প্রধান প্রকৌশলী ব্যাতীত অন্য সিন্ডিকের সদস্যরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তরে।
গণপূর্ত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চাকুরিবিধি লংঘণ করে একই পদে দায়িত্বে রয়েছেন ১১ বছর। অন্যদের বদলির বিষয়ে তিনি সভাপতি এটিএম গোলাম মোস্তফাকে সামনে রেখে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখন সংসদে আছি। খুব ব্যস্ত। পরে কথা বলবো।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল আলম বলেন, প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনায় সব কাজ করা হয়েছে। আমরা হুকুমের গোলাম। আমাদের কিছু করার নেই।
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে সাত জনকে ডিঙ্গিয়ে গণপূর্তের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। তিন বছরের অধিক সময় তিনি দায়িত্ব পালন করলেও তার পদটি স্থায়ী হয়নি। কারণ, প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়মিত হতে হলে ৫ জনের প্রস্তাব পাঠাতে হয়। তার অবস্থান আট নম্বরে হওয়ায় তাঁর নাম পাঠানোর কোন সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন