গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। আর এই তীব্র গরম থেকে মুক্তির আশায় পঞ্চগড়ে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে পঞ্চগড় সদরের কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের তালমা ঈদগাহ মাঠে ঘন্টাব্যাপী এ ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও ঈদগাহ ময়দান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লা’র আয়োজনে ইউনিয়নে নামাজের নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে জড়ো হন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে সকলেই মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মাফ চেয়ে এবং তীব্র গরম থেকে মুক্তিসহ বৃষ্টি চেয়ে কান্নাকাটি করেন। দোয়া করার সময় মুসল্লিরা পাঞ্জাবি ও টুপি উল্টো করে পরেন।
আর এই নামাজে ইমামতি করেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মো. আইয়ুব বিন কাসেম।
নামাজ শেষে ইমাম মো. আইয়ুব বিন কাসেম বলেন, অনাবৃষ্টি ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এ অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা নিরুপায়। তাই এ দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি লাভের আশায় আকাশের নিচে এই ঈদগাহ মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে আমরা মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করেছি।
নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের পাপের জন্য তওবা এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নত। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি
মন্তব্য করুন