বগুড়ার শেরপুরে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঘটে।
এই হামলায় একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ চারজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত জহুরুল ইসলাম ওই দিন বিকেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বতর্মানে তিনি ছেলা ফোলা জখম নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন এবং একই গ্রামের আনোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জুয়েলের রানাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছ।
জহুরুল ইসলাম বলেন, গোপনে এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন চলছিল। গত বৃহস্পতিবার ছিল অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। তিনি জানতে পেরে তার সঙ্গে গ্রামের আনোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জুয়েলের রানাকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যান।তার কিছুক্ষণ পর গ্রামের আবদুস সামাদ, মো. ইউসুফ, মো. দুলু ও ফিজার উদ্দিন প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে। তাদের সামনেই মনোনয়নপত্র চাইলে প্রতিপক্ষরা প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতেই তার কক্ষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক নিশ্চুপ ছিলেন বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার সরকার বলেন, তার কক্ষে এমন হামলার ঘটনা তিনি আশাকরেননি। এই হামলার কিছুক্ষণ পর জহরুল ইসলামের প্রতিপক্ষরা বিদ্যালয় কক্ষ থেকে চলে যায়। প্রতিপক্ষের হামলায় জহরুল ইসলামের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফোলা ও জখম হয়েছে।
এ নিয়ে প্রতিপক্ষ আবদুস সামাদ বলেন এই হামলার সাথে তারা কেউ জড়িত না। ওই দিন শুধু প্রধান শিক্ষকের কক্ষে উভয়দের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
প্রসঙ্গ নিয়ে শেরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগের আলোকে প্রাথমিকভাবে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন