অভয়নগরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বেপরোয়া একটি চক্র। জিম্মি সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন।
কেউই দমাতে পারছেনা তাদের। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে একের পর এক ঘটছে অঘটন। সহিংসতার শির্ষে এখন অভয়নগর। ঘনিয়ে আসছে উপজেলা নির্বাচন, প্রতিপক্ষকে দমাতে রাজনীতির অপকৌসল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেপরোয়া সন্ত্রাসী হামলা।
সহিংস কর্মকান্ড সক্রিয় রাখতে সন্ত্রাসীদের দলীয় পদে বহাল রেখেছেন স্বার্থন্বেষী নেতারা। গুম খুন হত্যা ভূমি দস্যুতা সহ বহু অপকর্মে তাদের ব্যবহার করা হয়।বেপরোয়া সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে লুটে নিচ্ছে সম্পদ, বলির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন পূর্বে অভয়নগর পৌর যুবলীগের নেতা মুরাদ হাসান নামক ব্যাক্তিকে নিঃসংস হত্যা করা হয়। গুটিকয়েক হামলাকারী গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় আসল পরিকল্পনাকারীরা।কিছুদিনের ব্যাবধানে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করা হয় সাংবাদিক পুত্র কলেজ ছাত্র এসএম সিফাতউল্লাহকে সে মৃত্যু সজ্জায় চিকিৎধীন রয়েছে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। সপ্তাহ না পেরোতেই আবারো হামলার স্বীকার হলো ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়।
গতকাল ০৬/০৫/২০২৪ইং তারিখ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকায় সময় যশোর পুলিরহাট নামক এলাকার নির্জন স্থানে ভিকটিমকে একা পেয়ে অভয়নগরের শীর্ষ সন্ত্রাসী (মৃত) শিমুলের কথিত (ডানহাত) প্রধান সহযোগী আব্দুস ছামাদের নেত্রীত্বে ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসীদল উপর্যুপরি হামলা চালায়, তাতে মেহেদী হাসান হৃদয়ের দুটি পায়ের হাড় ভেঙ্গে মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত হয়। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত মেহেদী হাসান হৃদয় যশোর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে যশোর সদর মডেল থানায় সন্ত্রাসী হামলার বিষয় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায়।
মন্তব্য করুন