নীলফামারীর ডিমলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নবম শ্রেণির এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ফিল্মি স্টাইলে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকার রোস্তম আলী লিটন বসুনিয়ার ছেলে আদিল শাহারিয়ার(১৭) ও ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুর হাট গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে সাইদুজ্জামান সৈকত(১৭)কে সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন ডিমলা থানা পুলিশ।রোববার (১২ মে) গণধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে উপজেলার বাবুর হাট গ্রামের শিব মন্দির পাড়ার কৈলাশ দাস ওরফে মঙ্গলুর ছেলে প্রমিত দাস(১৭)কে প্রধান আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১১ মে)বিকেলে ছাত্রীটি সদরের একটি বিদ্যালয়ে প্রাইভেট শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় ডিমলা স্টারল্যান্ড স্কুলের সামনে থাকা আদিল শাহারিয়ার নামের এক কিশোর তার পথ আটকায়।পরে আদিল ও সৈকত নামের দুই কিশোর ফিল্মি স্টাইলে মোটরসাইকেলে তুলে ওই ছাত্রীটিকে ডিমলা মেডিকেল মোড় সংলগ্ন ফজিলাতুন্নেসা স্কুলের পিছনে পরিত্যক্ত টয়লেটের পাশে নিয়ে যায়।সেখানে প্রমিত দাস উপস্থিত হয়। তারা তিনজন মিলে বিভিন্নভাবে ওই ছাত্রীটিকে কুস্তাব দেয়।একই সময় সৈকত ছাত্রীটিকে জোর পুর্বক চুমু দেয়া ছাড়াও তারা সকলে ছাত্রীটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করেন। যার ভিডিও ধারন করেন আদিল শাহারিয়ার।পরে তারা ওই ছাত্রীটিকে প্রমিত দাসের বাড়িতে যেতে বলেন, অন্যথায় ধারনকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার ভয়ভীতি দেখান।ছাত্রীটি যেতে না চাইলেও জোর করে ছাত্রীটিকে মোটরসাইকেলে প্রমিত দাসের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।সেই ধর্ষণেরও ভিডিও ধারন করেন আদিল শাহারিয়ার।খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ছাত্রীটি স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রমিত দাস দীর্ঘদিন যাবত তাকে উত্যক্ত করতো ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।ছাত্রীটি সাড়া না দেওয়ায় ওই কিশোরসহ অন্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণধর্ষণ করেছেন।এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)দেবাশীষ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ও বিজ্ঞ আদালতে তাদের সোপর্দ করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন