মাদ্রাসায় বার বার চুরির ঘটনা নিয়ে গর্ভনিং বডি, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মিটিংয়ে দুই কর্মচারির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চন্দ্রগাঁতী দ্বি-মুখী আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষের নিজ কামড়ায় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার দিবাগত রাতে মাদ্রাসার লাইব্ররী সহ ৩ টি কক্ষের তালা ভেঙ্গে আলমারি থেকে বেশকিছু টাকা চুরি করে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র এলোমেলো রেখে চোর পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৈশ প্রহরী মো. লিটন আলী ও নিরাপত্তা কর্মী রাকিব হোসেনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় নৈশ প্রহরী লিটন ও তার পিতা আব্দুল মান্নান মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী রাকিব ও তার পিতা হারুন অর রশিদের উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে জখম করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতিবাজ সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের অনিয়মের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, একটি গোষ্ঠীর লোকজন বার বার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিতে থাকায় মাদ্রাসায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম সংঘটিত হয়ে আসছে। বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি, পুকুরের মাটি বিক্রি, ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তারা। তারা আরো বলেন, নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে স্থানীয় সংসদের জাল সিল তৈরি করে রফিকুলের সুপারিশ পত্রে প্রয়োগ করেছে বলেও অভিযোগ তাদের।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ নাসির উদ্দীন জানান, এই প্রতিষ্ঠানে ২/৩ মাসের মধ্যে তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে ৩ টি কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বেশকয়েকটি আলমারি ভেঙে এলোমেলো করে কাগজপত্র রেখে চোর পালিয়ে যায়। এব্যাপারে অধ্যক্ষ এখনো কোন আইনী ব্যবস্থা নেননি বলে জানান তিনি।
মাদ্রাসার নিরাপত্তা কর্মী রাকিব জানায়, মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী ডিউটি করে না বলে এমন ঘটনা ঘটছে।
নৈশপ্রহরী লিটন অভিযোগ করে বলেন, নিরাপত্তাকর্মী রাকিব গাঁজা ও হিরোইন খোর, সেই এ ধরনের কাজ করতে পারে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম সামছুল হক জানান, চুরির ঘটনা মাদ্রাসা কতৃপক্ষ এখনো আমাকে জানায়নি। মারিমারি ঘটেছে তাও জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
মন্তব্য করুন