নওগাঁয় ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) পুকুরে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ চুরি করে ধরার সময় চোর কে বাধা দেওয়ায় পুকুরের পাহারাদার ও পুকুর মালিক কে পিঠিয়ে জখম করার অভিযোগে মহাদেবপুর থানায় এজাহার দিয়েও ভুক্তভোগীরা পায়নি কোন প্রতিকার।
এই বিষয়ে পুকুর মালিক মোঃ আলম হোসেন বলেন, আমি একজন মৎস্য চাষী। আমি বিভিন্ন জায়গায় পুকুর লিজ নিয়ে মাছ করে আসতেছি। মহাদেবপুর উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামের জনৈক বিষু মণ্ডল গণদের মালিকানা পুকুর লিজ নিয়া প্রায় ১৬ বছর যাবৎ মাছ চাষ করে আসতেছি। প্রায় সময় পুকুরে পাহারাদার ও আমি না থাকলে পুকুর থেকে চুরি করে মাছ ধরে নিয়া চলে যায়।
ঘটনার দিন দুপুরে অনুমান দুইটার সময় পাহারাদার সম্রাট পাশের দোকানে চা ক্ষেতে গেলে এই সুযোগে শাহিন আলম ও রঞ্জিত কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরতেছিল। পাহারাদার সম্রাট তাদের মাছ ধরতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পাহারাদারকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে জখম করে এবং আমি পুকুরের পাশে একটি মাছের খাবার এর ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আমাকে শাহীন আলম, পিতা-মোঃ আমজাদ হোসেন সাং-পীড়া, রঞ্জিত পিতা-জগদীশ তারা আমার মাথায় এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুষি মেরে আমার নাক ফেটে ফেলে তারা। এ সময় ফোন করে প্রীতম পিতা প্রবেশ, রূপ কুমার, রাজ কুমার উভয় পিতা-শুকুমল, গৌতম পিতা-মৃত গুরুপদ সর্ব সাং-বেলঘরিয়া, বিনয় পিতা-প্রণয়, সাং-পীড়া, চন্দন ভুলসি পিতা-মংলা, মোঃ সবুজ, রোহান হোসেন পিতা-দুলু হোসেন, সর্ব সাং-বেলঘরিয়া, সর্ব থানা বপুর, জেলা-নওগাঁগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে ডেকে নিয়ে আমাকে মাছের খাবারের রুমে আটকে রাখে এবং তারা আমার পরিবারের লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসতে বলে তাদের কথামতো আমার পরিবারে খবর দেই।
খবর পেয়ে, আমার চাচাতো ভাই ওয়াদুদ হোসেন আকাশ এবং মোঃ জাকারিয়া ফেরদৌস ওই দিন বিকাল অনুমান ০৪.০০ ঘটিকার সময় একই ঘটনাস্থলে আসে এবং তাদের দেখে উপরোক্ত গণ দলবদ্ধ হয়ে হাতে বাঁশের লাটি, রামদা, শাবল, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে লিজকৃত পুকুর পাড়ে অনধিকার প্রবেশ করে এলোপাতাড়িভাবে আমার ভাই ওয়াদুদ হোসেন আকাশ এবং জাকারিয়া ফেরদৌসকে মারপিট শুরু করে এবং শাহীন আলম হাতে হাসুয়া দ্বারা হোসেন আকাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে উক্ত কোপ আমার ভাইয়ের মাথার ডান পাশে কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে এবং রোহান হোসেন তার
হাতে থাকা কাচি দিয়ে কোপ মারলে উক্ত কোপে প্রতিহত করলে ডান হাতে লেগে হাত কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। রঞ্জিতের হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে আমার ভাই জাকারিয়া ফেরদৌস কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে উক্ত আঘাত মাথার পাশে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। প্রীতম ও রুপ কুমার সহ উপরোক্ত সকলে মিলে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করলে ডাক চিৎকার এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে চলে যায়। এলাকাবাসী উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় বর্তমানে তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি।
ঘঠনার দিন রাত ১০ টায় পুকুর মালিক আলম হোসেন বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় এজাহার দায়ের করলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন-এক অদৃশ্য কারণে মামলা রুজু করেনি বা কাউকে আটক করেনি। এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রুহুল আমিন কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
মন্তব্য করুন