কিছুদিন পরে বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদে উপ-নির্বাচনে সমর্থন ও দোয়া প্রত্যাশী চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ছাড়াই ইউনিয়নবাসির মধ্যে মুখে মুখে আস্থার যায়গা হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছেন ইউনিয়ন বাসির বিপদের বন্ধু বিশিষ্ঠ সমাজসেবক জেলা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইমরান হোসেন।

ডৌয়াতলা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, একটি সুখী- সুন্দর দেশ ও সমাজ নির্মানে সর্বপ্রথম ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ন প্রয়োজন। এবং ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ করতে হলেএ্যাড. ইমরান ই এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য। তিনি যদি সামনের ডৌয়াতলা ইউনিয়নের উপ নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলে সকলেই তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।

ইউনিয়নবাসি আরো জানান, অ্যাড. ইমরান হোসেন সবসময় সমাজের উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে ও সুখে দুঃখে মানুষের পাশে এগিয়ে আসেন তাই এবার ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে আমরা তাকেই চাই এবং তাকেই চেয়ারম্যান হিসেবে জয়যুক্ত করতে চাই।

এদিকে ইউনিয়নের প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে সর্ব মহলে জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন। রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। আড্ডা ও চায়ের কাপে উঠেছে আলোচনার ঝড়।

ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে সবকিছু পেছনে ফেলে আলোচনার শীর্ষে উঠেছেন মেধাবী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি অ্যাড. ইমরান হোসেন।

তৃণমুলেও পছন্দের শীর্ষে রয়েছে তিনি। তবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ইচ্ছে প্রকাশ এখন পর্যন্ত করেননি তিনি। তবে এলাকার মানুষের আদর মাখা ভালোবাসার কথা ভেবে বা সকল পরিস্থিতি ইউনিয়ন বাসির কল্যাণে ভূমিকা রাখলে নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে ডৌয়াতলা ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক খেলাধুলা ও সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ইউনিয়ন সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, মেধাবী নেতৃত্ব ও মেধাবী আইনজীবী হিসেবে তাঁর একটা নিজস্ব ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে।

এদিকে ভোটারদের অধিকাংশ তরুণ, এসব ভোটারদের মানসিকতা ও তৃণমূলের পছন্দ বিবেচনা করে তরুণ নেতৃত্ব অ্যাড. ইমরান হোসেনকে নির্বাচনে প্রার্থী করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

অ্যাড. মো: ইমরান হোসেন বলেন,নির্বাচন নিয়ে আমি এখনো কিছু ভাবিনি, আমার জীবনে কোনো লোভ লালসা, হিংসা- প্রতিহিংসা বা অহামিকা নেই। আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে যতটুকু পারি নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে সতেষ্ঠ আছি। তাই যে-কোন পরিস্থিতিতে আমি মানুষের সাথে থাকতে চাই। তাদের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকতে চাই। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়ে সকলের উপকার করতে চাই। আমাদের ডৌয়াতলা ইউনিয়নের তথা বরগুনা জেলার মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

উল্লেখ্য, গত (৯ জুন) রবিবার বামনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন মোঃমিজানুর রহমান মিজান তিনি ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
এমতো অবস্থায় ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদ খালি থাকায় সম্ভাব্য আগামীকাল (২৮ জুন) উপ- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশন।