জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে উল্লাপাড়া পৌর বাজারে উপজেলার ৩টি গ্রামবাসীর মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে অন্ততঃ ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে মামুন সরকার (৪৪) নামের এক ব্যবসায়ীর অবস্থা গুরুতর। তাকে সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজিত জনতা পাট ও তেলের গুদামসহ ৪টি গুদাম ও পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লেবুর বাড়িসহ অন্ততঃ ৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সাথে অন্ততঃ ১১টি দোকান ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও উল্লাপাড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়।
স্থানীয়রা জানান, উল্লাপাড়া পৌর বাজারে একটি জায়গা নিয়ে হ্যালো উল্লাপাড়ার স্বত্তাধিকারী মোঃ তোতা সঙ্গে ব্যবসায়ী আমিনুল সরকার ও রাম কর্মকারের পূর্ব গোলযোগের জের ধরে বুধবার সকালে পৌর বাজারে মাছের দোকানে তোতার আত্মীয় ঝিকিড়া মহল্লার বাবলু এবং চর সাতবাড়ীয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আমিনুল সরকারের বড় ছেলে মামুনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি এবং মারপিট হয়। এতে মামুন গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি আহত হন প্রতিপক্ষ বাবলুও। পরে বাবলুর তালুকদারপাড়া মহল্লার শতাধিক লোক রামদা, ফলা, লোহার রড, ও লাঠি সোটা নিয়ে বাজারে মামুন ও তার স্বজনদের কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে আহত মামুনের বাড়ি পার্শ্ববতী চর সাতবাড়ীয়া এবং লাগোয়া রামকান্তপুর গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষনা দিয়ে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে বাবলুর দলের লোকজনেরও গুদাম এবং বাড়ি ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ সেনা সদস্যদের নিয়ে পাটবন্দরে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়।
উল্লাপাড়া পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর জানান, সেনা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় তারা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছেন। তবে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া দুই পক্ষের লোকজন পৌর বাজারের বিভিন্ন গুদাম, দোকানপাট এবং ঝিকিড়া মহল্লার বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তারা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বেলা ২টাই এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে বিচ্ছিনভাবে গোলযোগ চলছিল।
মন্তব্য করুন