ছাতকে প্রায় ২১ মাস ধরে বিদ্যালয়ে না গিয়েও ঘরে বসে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার জামুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা প্রাক প্রাথমিক অনুপমা দাশ লিজার বিরুদ্ধে।
উপজেলার জামুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা প্রাক প্রাথমিক অনুপমা দাশ লিজার ২১ মাস ধরে বিদ্যালয়ে না গিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও তার নিজ বাসা বসে প্রতিমাসে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে নিচ্ছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলার জামুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অনুপমা দাশ লিজ মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করে স্কুলে না গিয়ে ও ২১ মাস ধরে প্রধান শিক্ষক কে বৃদ্ধা্ঙ্গুল দেখিয়ে মাসিক বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।
গত ১৫ আগষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে সহকারি শিক্ষিকা অনুপমা দাশ লিজার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার ও সিলেট প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালক,ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে
একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায় সহকারি শিক্ষিকা
অনুপমা দাশ লিজা ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস ২য় মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করেছেন। তার বাচ্চার জন্ম হয়েছে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ।
তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় প্রধান প্রতিমাসে এম আর
প্রতিবেদনে উপজেলার শিক্ষা কর্মকতা বিভিন্ন শিক্ষক তথ্যে বিদ্যমান আছে।
সেই অনুযায়ী তার বাচ্চার জন্ম হয় ছুটি নেওয়ার প্রায় ৩ মাস পুর্বে। এর পর তিনি ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের( ৫) মার্চ পর্যন্ত দুই মাস পাঁচ দিন বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে ও ২০২২ সালের ৬ মার্চ থেকে থেকে ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক টানা এক বছর ৯ মাস ৫ দিন
তার নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারী থেকে একই বছরের গত ২৩ মে পর্যন্ত পুনরায় ৫ মাস ২৩দিন Perfectly উপস্থিত হলেও একই বছরের ২৬ মে থেকে অদ্যাবধি তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
যে কারণে লেখাপড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের কয়েকশত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের বদলি জনিত কারণে ও শিক্ষক সংকটে পড়েছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষিকা অনুপম দাস লিজা স্কুলে না গিয়ে উপজেলার দুনীতিবাজ সাবেক শিক্ষা কর্মকতা মাসুম মিয়া ও বতমান
দুনীতিবাজ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতাকে ম্যানেজ করে চলছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও তার ব্যক্তিগত সহকারি মুশাহিদ, উপজেলা যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্চাসেবক লীগ ও আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা, শিক্ষক নেতা প্রনব দাশ মিটু ও আনোয়ার হোসেন সোহাগ এর সঙ্গে শিক্ষিকার গভীর সম্পক থাকার সুবাদে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে না গিয়ে বাসা বাড়ি বসে প্রতি মাসের বেতন ভাতা উত্তোলন করতো।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসি জানায়, অনুপম দাস লিজা তার মনগড়া ছুটি ও ইচ্ছা মতো চলাফেরা করছেন। তাকে কেউ বাঁধা দিলে তার উপর বিভিন্ন মিথ্যা নানা অভিযোগ দিয়ে শিক্ষা কর্মকতার মাধ্যমে হয়রানি করেন অনুপম দাস লিজা। যে কারণে এসব বিষয়ে কেউ এতদিন মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এ শিক্ষিকার নানা অনিয়ম বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার ঘটনাটি ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসি একাধিকবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতাকে অবগত করেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কমকতা মাসুম মিয়া ও বতমান শিক্ষা কর্মকতা রফিজ মিয়া উল্টা অভিযোগকারীদের হয়রানি করতো বলে অভিযোগ রয়েছে দু,শিক্ষা কর্মকতার বিরুদ্ধে।।
এব্যাপারে সহকারী শিক্ষিকা অনুপম দাস লিজাকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল রিসিভ করে পরিচয় পেয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ এসব ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,শিক্ষা কর্মকতা ম্যানেজ
করে বিদ্যালয়ে না এসে বেতন ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষা
কর্মকর্তা রফিজ মিয়ার মোবাইল নম্বারের একাধিকবার রিং করে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবাহী কমকতা গোলাম মুস্তফা মুন্না অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন শিক্ষিকা বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিত তদন্তের অভিযোগের সত্যতা মিলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন