সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অনিয়ম ও বামন ঘিয়ালা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আতিকুর রহমান এর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পূর্ণিমাগাঁতীতে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের বক্তারা বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্টের পর থেকে বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেছি তার মধ্য পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের বামন ঘিয়ালা কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবার মান খুব খারাপ। এ ক্লিনিক থেকে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পায় না। এ ক্লিনিকের সিএইচসিপি আতিকুর রহমান কমিউনিটি ক্লিনিকে আসে না। আমরা ২০ দিন এ ক্লিনিক পরিদর্শন করেছি কিন্তু একদিনও এ ক্লিনিক খোলা পাইনি। আতিকুর ক্লিনিকে আসে না তাছাড়া তার বিরুদ্ধে গ্রামের লোকজনের অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে মাদকের সাথে জড়িত, নেশা খায়, নেশা খেয়ে মাতলামি করে। ক্লিনিক রেখে বিভিন্ন লোকের সাথে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে। তারা আরো বলেন, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে এই কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে পদত্যাগ করতে হবে তা না হলে লাগাতার এ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলতেই থাকবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অনিয়ম বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের বক্তারা বলেন, হসপিটালের খবারের মান ভালো না, একজন রোগী যে পরিমাণ খাবার পায় তাকে তা দেওয়া হয় না, খাবারের ঠিকাদার শাহিদুল ইসলাম তাকেও আমরা জানাতে চাই যে যদি খাবারে মান ভালো না হয় ও একজন রোগীর যে পরিমান খাবারের প্রাপ্যতা রয়েছে তাকে তা যদি না দেওয়া হয় তাহলে আপনার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও বাতিল হবে। তাছাড়া হসপিটালে মা ও শিশু জন্য যে খাদ্য আসে তা তাদের কে দেওয়া হয় না। স্টোর কিপারের ঔষধ রোগীদের ঠিকঠাক মতো দেওয়া হয় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অনিয়ম ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আতিকুর রহমান এর পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের বক্তারা আরো বলেন, আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের মূল কথা হলো আমরা আর অনিয়ম, দূর্নীতি চাই না, আমরা অন্যায়, অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তাদের বলতে চাই ভবিষ্যতে আর এ অনিয়ম ও দূর্নীতি আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ মেনে নিব না। বাংলাদেশকে দূর্নীতি মুক্তা বাংলাদেশ হিসেবে আমরা দেখতে চাই। বাংলাদেশের কোথাও আর দূর্নীতি হতে দিব না।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো আতাউল গনি ওসমানী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার বিষয়ে বলেন, খাবার ঠিকাদারকে বার বার সর্তক করেছি তারপরও যদি ঠিকাদার রোগীদের খাবারে অনিয়ম করে তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন হসপিটাল শিশু খাবার নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের যে অভিযোগ তা সঠিক নয়। শিশু খাবার থেকে শুরু করে যে ঔষধ আছে তা যথাযথ রোগীদের দিয়ে থাকি।
মন্তব্য করুন