সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের হাপ পাঁচিল গ্রামের হত দরিদ্র ৬ সন্তানের জনক মাজেদা বেগম কে নগদ টাকা ও এক মাসের বাজার করে দিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান এবং থাকার জন্য ঘর ও বিধবা ভাতার কার্ডের ব্যবস্থ করে দিলেন। ইউএনও এই মহতী উদ্দো্যগ এলাকায় ব্যাপক প্রসংসা জুগিয়েছেন ।
জানা গেছে, উপজেলার ভাঙ্গনন কবলিত এলাকা বলে খ্যাত ৮ সন্তানের জনক মাজেদা বেগম (৪৮) তার স্বামী রমজান আলী তিন বছর আগে মারা যায়। সন্তানদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করে। যমুনা ভাংগনে ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ায় বর্তমানে হাট পাঁচিল ওয়াপদা বাঁধে খুপড়ির মধ্যে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করতে থাকে। সন্তানদের চিন্তায় নিরবে কান্নাকাটি করত মাজেদা বেগম। পরিবারে অভাবের কারনে সে কোনদিন ভাতের ফ্যান খেয়ে দিন কাটাত। তার এই কষ্টের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার হলে ঘটনাটি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নজরে আসে।
গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইউএনও মোঃ কামরুজ্জামান নিজ হাতে বাজার করে মাজেদার জন্য চাউল, ডাউল, চিনি, লবন,হলুদ, মরিচ , তেল, সাবান সহ ১ মাসের বাজার করে নিয়ে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে মাজেদার কুঁড়ে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বাজার তুলে দেয়। এত বড় বিশাল অনুদান পেয়ে মাজেদা বেগম ও তার ছেলে মেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে।
মাজেদা বেগম বলেন, যমুনা ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে স্বামীও মারা গেছে , ৮ সন্তান নিয়ে চরম কষ্টে আছি। আমাকে যে থাকার ব্যাবস্থা এবং বিধবা ভাতার কার্ড করে দিবে আমি এর চেয়ে বড় আনন্দ আর পাব না।
ইউএনও বলেন, তার কষ্টের কথা জানতে পেরে তাকে আমি সহযোগীতা করেছি মাত্র। তবে তার বিধবা ভাতা সহ তার থাকার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিব। এলাকার মানুষ জানায় ইতিপূর্বে আমাদের কেউ খোজ রাখেনি অথচ একজন বড় কর্মকতার গরীবের বাড়িতে এসে এভাবে সহযোগীতা করেন, আমরা তার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব।
মন্তব্য করুন