৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যোগদানের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তবে নানা কারণে অনেক শিক্ষক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেননি। এসব প্রার্থীদের আবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুল চাহিদা, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা কারণে বেশ কিছু শিক্ষক চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরও যোগদান করতে পারেননি। এ সকল শিক্ষকদের আবেদন পর্যালোচনা করে পুনরায় নিয়োগ সুপারিশ করা হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী CWN’ কে বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভুলের মাসুল শিক্ষকরা কেন দেবেন?
প্রার্থীরা ভুল চাহিদা দেওয়ার বিষয়ে প্রত্যয়ন নিয়ে এনটিআরসিএকে জানালে তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০২১ সালের ২৮ মার্চ জারি করা সর্বশেষ বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে ওই পদে মনোনীত (সুপারিশপ্রাপ্ত) প্রার্থীকে নিয়োগ (যোগদান করতে) দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে ওই শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করছে এনটিআরসিএ। তবে প্রার্থীরা সুপারিশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে জটিলতায় পড়ছেন। কোথাও কোথাও ভুল চাহিদা দেয়ায় প্রার্থীরা যোগদান করতে পারছেন না। আবার শূন্য পদ না থাকলেও চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অনেকক্ষেত্রে ঘুষ দাবি করায় শিক্ষকরা যোগদান করতে পারেননি। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এনটিআরসিএ।
মন্তব্য করুন