শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ইয়াসিন আরাফাত ওরফে হুজুরে ইয়াসিনকে (২৮) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
বেজপাড়া চোপদারপাড়া এলাকার ব্রাদার্স ক্লাবের এই ঘটনার ৫ মাসের মাথায় জুলাইতে প্রতিশোধ নিতে একই কায়দায় শংকরপুর আকবর মোড়ে খুন করা হয় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধোনীকে। চলতি বছরের ২৬ মার্চ দৃর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলের অনুসারী রুম্মন হোসেন (৩১) নামে এক যুবক মারা যায়। বুনো আসাদের ঘটনার পরপরই বেজপাড়া বনানী রোডের আক্কাসের ছেলে চঞ্চলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১৭ নভেম্বর খাবড়ি হাসান গ্রেপ্তার হয়। সবশেষ এ হত্যা মামলার আসামি শহরের নাজির শংকরপুর মাঠপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে সুমন ওরফে মাঠ সুমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছেন আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি ও তার অনুসারীরা। কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার হিসেবে পরিচিত কাউন্সিলররাও গা ঢাকা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অনেকেই ভোল পাল্টে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এলাকা ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারের কেউ কেউ এদের শেল্টার দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চাকু সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণহ নানা অভিযোগের বিষয়ে চার কাউন্সিলর আত্মগোপণে থাকায় কারোও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে ১ নম্বরের কাউন্সিলনর সাহিদুর রহমান ওরফে ডিম রিপন তার বিরুদ্ধে অভিযোগকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে আখ্যায়িত করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। আর ৪ নম্বরের জাহিদ হোসেন ওরফে টাক মিলনের দাবি সব মিথ্যা। যদি এত অপরাধ করে থাকেন তাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না কেন?
সদ্য বিদায়ী যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকটি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে গুলি করার ঘটনায় অস্ত্র মামলা হয় এবং সাজা থেকে মওকুফ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই ছুরি কিংবা চাকুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। শহরের কিশোর তরুনেরা অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি নিতো বাহারি নাম ও ডিজাইনের নানা ছুরি ও চাকু। সম্প্রতি অনলাইনে এসব বিক্রি করার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ায় এখন কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে জানান যশোরে কাজ করা গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন