নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে প্রায় একমাস ধরে ৫টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্থানীয় হাসান মল্লিক সহ প্রভাবশালী কিছু মাতব্বরেরা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কোন প্রতিকার পায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাস্তার ধারে লাউ-কুমড়ার গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাগলকে মারধর করায় শুরু হয় ঘটনার সূত্রপাত। বেলাল মল্লিকের লাউ কুমড়ার গাছ খাওয়ায় মারধর করে বেলাল মল্লিক। তাতে ছাগলটির একটি পা জখম হয়।
সেকারনে ছাগলের মালিক হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে বেলাল মল্লিককে মারধর করে এবং স্হানীয় কিছু কুচক্রী মাতববরের পরামর্শে বেলাল মল্লিক সহ তার পাশ্ববর্তী আত্নীয়-স্বজনসহ ৫টি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তার তিনদিকে বেড়া দিয়ে গৃহবন্দী করে দেয়। বেলাল মল্লিক নিরুপায় হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরির্দশন করলেও কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করেই চলে যায়। এতে হাসান মল্লিক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বেলাল মল্লিক রাত্রি প্রায় সাড়ে ১০টা সময় বিলের মধ্যে মাছ ধরতে গেলে, সেটি টের পেয়ে হাসান মল্লিকসহ জব্বার, দুলাল এবং তাদের পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে বেলাল মল্লিককে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং প্রচন্ড ভাবে ইট দ্বারা মারধর করে বেলাল মল্লিককের অন্ডকোষ চেপে ধরে। পানির মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। বেলাল মল্লিক বিষয়টি বুঝতে পেরে, শরীরের সকল শক্তি দিয়ে পানি থেকে উঠে ডাক-চিৎকার দিতে দৌড়াতে থাকে এবং এক সময় গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করে মোয়াজ্জেমের বাড়ির সামনে এসে পড়ে যায়। রাতেই বেলাল মল্লিককে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বেলাল মল্লিক ও তার স্ত্রী জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মেরে ফেলার মত তারা সিদ্ধান্ত নেয়। গত একমাস যাবত আমরা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। বর্তমানে তারা চাঁদা দাবীও করছে। চাঁদার টাকা না দিলে, এইবার আর বেঁচে থাকার সুযোগও দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। তাই আমরা বাড়িও যেতে পারছিনা। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে আইনগত সহযোগিতা চাই।
হাসান,জব্বারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, মাতব্বরের হুকুমে আমরা বেড়া দিযেছি। তাদের অনুমতি ছাড়া বেড়া কখনোই সরাবনা। তাছাড়া আমার ছাগলের ক্ষতি পুরুন দিতে হবে।
স্থানীয় মাতব্বর আক্কাস আলী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে যা স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা সম্ভব ছিল। তবে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে আমরা কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁর ভীমপুর পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরির্দশক জামাল উদ্দীন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, বেড়া সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত যে বেড়া সরিয়ে নেওয়া হয়নি তা আমার জানা নেই। পরর্বতীতে কেউ আমাকে এবিষয়ে কিছু জানায়নি।
মন্তব্য করুন