রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডর-২০২৪ খ্রীষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর সিরাজগঞ্জ জেলার শীর্ষস্থানে রয়েছে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ। এবারের ফলাফলে এই কলেজ থেকে মোট ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই কলেজ থেকে পাস করেছে ৫৭৭ জন। পাশের হার ৯৯.৮৩%। ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। জেলায় সর্বোচ্চ পাশের হার এই কলেজের।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ৭৪৪ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এদের মধ্যে ৭৩৪ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৯৮.৬৬% এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী।
জেলার উল্লাপাড়া এইটি ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ৪১৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৯৬.৩৮% এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৩ জন। উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ থেকে এ বছরে ৮৯৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ৮২৫ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। ৯২.২৮% পাশের হারে ২৮২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ২০২৪ সালের প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ জেলায় সর্বোচ্চ ফলাফল রয়েছে। ভালো ফলাফল করে জেলায় শীর্ষস্থান লাভ করায় খুশি উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মোক্তার হোসেন তার কলেজের ভালো ফলাফলের খবর জানিয়ে বলেন, শুধু উল্লাপাড়া উপজেলা নয় বিজ্ঞান কলেজ সিরাজগঞ্জ জেলাতেও শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। জেলায় শীর্ষ অবস্থানে থাকায় অনেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল জেলার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। আমরা আশাকরি সামনের দিনগুলাতে এ ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকবে।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনুল ইসলাম জানান, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কলেজ থেকে মোট ৭৪৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এদের মধ্যে ৭৩৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১৩ জন। এই কলেজের ৯৮.৬৬% পাশের হারে জেলায় দ্বিতীয় অবস্থান।
উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত তার অভিপ্রায়ে জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে উল্লাপাড়া শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিত। বিজ্ঞান কলেজের মত সকল প্রতিষ্ঠান আরও উন্নত ফলাফল অর্জন করে মানবসম্পদ গড়ে তুলুক এটাই প্রত্যাশা।
মন্তব্য করুন