বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। একদিকে খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। দেশের নীরিহ জনগণ যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তারা এই অব্যবস্থার শিকার হয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, বৃহৎ অংশের মানুষ বেকার হয়ে আছে, যাদের পুনর্বাসনের কোনো সঠিক পরিকল্পনা সরকার এখনো দিতে পারেনি।
সরকারকে এখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। খাদ্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ভর্তুকির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এমনিতেই আমাদের দেশের মানুষের আয় কম, তার ওপর বাড়তি মূল্যের চাপে তারা বিপর্যস্ত। নৈতিকতার জায়গা থেকে সরকারকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এছাড়া, কর্মসংস্থানের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। শিল্পখাতে কাজ বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এর ফলে হতাশা ও অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। সরকারের উচিত বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা, যাতে এই বিপুল বেকার জনগোষ্ঠী পুনরায় নিজেদের পায়ের ওপর দাঁড়াতে পারে।
আর একটি বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। দেশের সাধারণ মানুষ এখন বিচার ও ন্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। যারা অবৈধভাবে দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানবিকতা, ন্যায়বিচার, এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে দেশকে এই অন্ধকারময় অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে।।
মন্তব্য করুন