বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, আওয়ামী লীগের আর কোন ভবিষ্যত নেই। তাদের দলের প্রধান নিজেই পালিয়ে এ দলকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, যারা মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে, গণতন্ত্র নষ্ট করেছে, একটি শিশু জন্মগ্রহণ করার আগেই ৮ হাজার ডলার ঋণ গ্রহণ করেছে তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান আইন উপদেষ্টার এক মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, রাষ্ট্র ইচ্ছা করলে যে কোন রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে পারে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবাই জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতাদেরকে গায়েবী মামলা দিয়ে নাজেহাল করেছিলেন। খুনী হাসিনার রক্তের সাথে মিশে আছে জিয়াউর রহমান হত্যা, তার রক্তে মিশে আছে হেফজতের হত্যা, বিডিআর হত্যা। গত ১৭ বছর হাজার হাজার নেতাকর্মীদেরকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করেছে। এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সুমনসহ ৬ শতাধিকের উপর নেতাকর্মীদের গুম করেছে। ২৪’র জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধসহ সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা হত্যা করেছিল। ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহুর্তেও যখন সেনা প্রধান ও আইজিপি গণভবনে গিয়েছিল তখন খুনী হাসিনা ছাত্র-জনতার উপর গুলি ছুড়তে নির্দেশ দিয়েছিল। সেদিন তারা সেই নিদের্শ মানেনি তাই চোরা পথ গলি দিয়ে তার প্রভুর কাছে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করান এবং সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিন। আপনারা বিচার করতে না পারলে নির্বাচিত সরকার খুনী হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে তার বিচার কার্যকর করবে।
আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৬ অক্টোবর বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণহত্যাকারী হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবিতে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ. এম. মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সিটিজেন মুভমেন্টের নেতা লেখক ও কলামিস্ট রাকেশ রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, এসিস্টেন্ট অ্যাটর্নী জেনারেল অব বাংলাদেশের এ্যাডভোকেট এস এম ইউনুস আলী রবি, মোঃ ঈসা, কৃষক দলের সহ সাধারন সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান লিটন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, অপরাজেও বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, বরিশাল জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুক পীরসাহেব, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়া, ছাত্রদল নেতা মোঃ শফিকুল ইসলাম (সফিক রেজা) প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আ স ম মোস্তফা কামাল।
সভাপতি এইচ এম মনিরুজ্জামান প্রবাসীদের ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেন- দেশের জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে ২ কোটি প্রবাসীদের পক্ষে সংসদে কথা বলার জন্য প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য রাখতে হবে, তারা যেন সংসদে তাৎক্ষণিকভাবে প্রবাসীদের সমস্যাগুলি উত্থাপন এবং সমাধান করতে পারে। প্রবাসে মৃত্যুবরণ করা প্রত্যেক প্রবাসীর মৃতদেহ বিনা খরচে দ্রুত দেশে আনতে হবে। প্রবাসীদের এয়ারপোর্টে ভিআইপি সম্মান দিতে হবে। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নতুন ভিসার দাম কমাতে হবে এবং বিমান টিকেটের দাম কমিয়ে আনতে হবে। প্রবাসীর পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং প্রবাসে থাকা ব্যক্তিদের জমি-জমা দখল বন্ধ করতে হবে। প্রববাসীরা ১২ বৎসর পর অবসরে গেলে তাদের অবসর ভাতা দিতে হবে। সকল প্রবাসীকে প্রবাসী স্মার্ট কার্ড করে দিতে হবে। প্রবাসীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। শর্তহীনভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসীদের লোন দিতে হবে।
মন্তব্য করুন