রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার রয়েছে জানতে, কাদের কী কারণে রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল প্রদান করা হচ্ছে এবং এই সুবিধা প্রদান পেছনে কী যুক্তি কাজ করছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রশাসনিক কিংবা সামাজিক ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন কিংবা বিশেষ অবদানের জন্য কিছু মানুষ বিশেষ মর্যাদা বা প্রোটোকল পেতে পারে। তবে যেহেতু রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল জনগণের সম্পদ দ্বারা পরিচালিত, তাই জনগণের প্রতি যথাযথ জবাবদিহিতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়: রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক দায়িত্ব এবং সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান। অর্থাৎ, এই সুবিধাগুলো কেবলমাত্র প্রাসঙ্গিক এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত, যাতে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এবং প্রশাসনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হয়। তবে যদি কোনো ব্যক্তি বিনা যুক্তিতে বা জনকল্যাণে অবদান না রেখেও রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পায়, তবে তা জনসাধারণের মনে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য।
প্রতিটি নাগরিকের উচিত এসব প্রশ্ন তোলা, কারণ এটা তার অধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণই ক্ষমতার উৎস। তাই রাষ্ট্রীয় যে কোনো সুবিধা বা সম্মাননার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। জনগণের প্রশ্নের উত্তরে প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করে এবং সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবদানের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেয়, তবে এতে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ে।
অতএব, রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ মূল্যায়ন, যোগ্যতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত এবং সবার প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই গণতান্ত্রিক আদর্শের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন।
মন্তব্য করুন