নিঃসন্দেহে ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করলেও, ইতোমধ্যে দেশে বিভিন্ন খাতে তার নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হয়েছে। সরকারের তিন মাসের শাসনকালে কিছু বড় ধরনের অভিযোগ ওঠেছে, যা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বদলি বাণিজ্য, নিয়োগ ও নবায়ন প্দায়নে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন পদে অযোগ্য এবং অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের ফলে প্রশাসনিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, যা সাধারণ জনগণের আস্থাহীনতার কারণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি অত্যন্ত অবনতিশীল। চাঁদাবাজি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, এমনকি রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের মতো ঘটনাগুলোও নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে অনেকেই নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন।
অর্থনৈতিক খাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কমতি এবং ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা দেশের অর্থনীতিকে এক ধরনের সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ আরও বেশি সংকটে পড়ছেন। এছাড়া, বিদ্যুৎ খাতে ঘনঘন লোডশেডিং এবং যানজটের সমস্যাও ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক সভা, মিছিল, এবং আন্দোলনে বাধা দেওয়া, গ্রেফতার অভিযান, এবং নেতাদের উপর হামলার মতো কর্মকাণ্ডের
মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় অপরাধ দমনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন সাধারণ জনগণ।
এই সব খাতে ব্যর্থতার ফলে ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন অনেকেই। জনগণ আশা করেছিল, অন্তর্বর্তী সরকার সুশাসন ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনবে, তবে বর্তমান পরিস্থিতি সেই প্রত্যাশাকে ব্যাহত করেছে।
মন্তব্য করুন