সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাসাবাড়ি জোলার কালভার্ট হয়ে বাহন নিয়ে চলাচল করা যায় না। এলাকার লোকজন সড়ক পথটিতে পায়ে হেটে চলাচল করেন। প্রায় দশ বছর আগে নির্মাণ করা কালভার্টটির দুপাশের মাটির সড়ক পথ উচু করা হয়নি। আবাদী মাঠের ফসল কৃষকদেরকে বাহনে বাড়ী নিতে বেশ কষ্ট করতে হয়। দুই গ্রামের মাঝে সহজ যোগাযোগ হয়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের পুরানবেড়া – নাইমুড়ি কাচা সড়কের বাসাবাড়ি জোলায় ( নালা ) প্রায় দশ বছর আগে বড় ধরণের উচু একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। জানা গেছে বিগত ২০১৪ সালে স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) থেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরানবেড়া থেকে নাইমুড়ি গ্রাম অবধি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ কাচা সড়কটি আবাদী মাঠের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে। এছাড়া সড়কটি বেশ নীচু। এখানকার আবাদী মাঠে বোরো ( ইরি ) ধান , সরিষা ও রোপা আমন ধান ফসলের আবাদ করা হয়। এ সড়ক পথে নির্মিত কালভার্টটির দুপাশে মাটি কম থাকায় কোনো বাহন নিয়ে চলাচল করা যায় না। এলাকার লোকজনকে কালভার্টটি হয়ে পায়ে হেটেই চলাচল করতে হয়। মটর সাইকেল ও তিন চাকার কোনো বাহন নিয়ে চলা যায় না। প্রতিবেদককে পুরানবেড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম , সাতটিকরীর গোলাম মোস্তফা , পলাশ সরকার বলেন সড়কটির হাল অবস্থায় মাঠ থেকে অটো ভ্যানসহ অন্যান্য বাহনে ফসল বাড়ী নিতে বেশ কষ্ট করতে হয়। কালভার্টটির দুপাশসহ পুরো সড়ক পথ মাটি ফেলে উচু করা হলে সহজেই যে কোনো বাহনে ফসল নিয়ে বাড়ীতে নেওয়া ও চলাচল করা যাবে।
উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য ( মেন্বর ) মো. শরীফুল ইসলাম ও একই পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য কে এম ওবায়দুল ইসলাম জানান নাইমুড়ি , সাতটিকরী ও পুরানবেড়ার বসতি নানা পেশার বহু জনগন সড়ক পথটি হয়ে চলাচল করেন। সবাইকে পায়ে হেটে চলাচল করতে হয়। বাইসাইকেল নিয়ে চলতে গেলে কালভার্টটির পার হতে বাইসাইকেল নিয়ে উঠতেই কষ্ট করতে হয়। মাঠ থেকে ফসল বয়ে বাড়ী নিতে কৃষকদেরকে বেশ দুর্ভোগ আর কষ্ট হয়। কালভার্টটির দুপাশে মাটি ফেলা আর পুরো সড়ক পথ উচু করা হলে গ্রামগুলোর মধ্যে কম সময়ে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। যে কোনো বাহন নিয়ে চলাচল করা যাবে। প্রতিবেদককে ইউপি সদস্য শরীফুল ইসলাম আরো বলেন তার নিজ গ্রাম নাইমুড়ি থেকে পুরানবেড়া , সাতটিকরী গ্রামে অটো ভ্যান কিংবা মোটর সাইকেল ছাড়াও যে কোনো বাহনে প্রায় ছয় কিলোমিটার যেতে হয়। তিনি কালভার্টটির দুপাশেসহ পুরো সড়কে মাটি ফেলে উচু করতে মাস ছয়েক আগে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানান।
সলঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান তালুকদারের সড়কটির বিষয়ে বক্তব্য জানা যায় নি। সলঙ্গা ইউপি সচিব বাসুদেব ঘোষ বলেন দুইটি ওয়ার্ডের জনগনের চলাচল সুবিধায় কালভার্টটির দুপাশে মাটি ফেলা ও সড়কটি মাটি ফেলে উচু করতে তার পরিষদ থেকে একটি প্রকল্প করে পিআইও অফিসে জমা দেওয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান বলেন গতকাল রবিবার ১৭ নভেম্বর যোগদান করেছেন। তিনি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রকল্প করে পুরো সড়ক পথের উন্নয়নে উদ্যোগ নেবেন।
মন্তব্য করুন