মোটর সাইকেল, নারী শিশু পাচার সহ নানা ধরনের চোরাচালানী ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে নাভারন ইয়ামা শোরুম এর সত্বাধীকারী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। পাসপোর্ট ভিসা বাদে বিষ্ণুপদ দাস (৭০) ও তার স্ত্রী সাবিত্রীকে চোরাইপথে ভারত পাঠানোর নাম করে ৩৮ হাজার টাকা নিয়ে তাদের বেনাপোল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগির ছেলে বাচ্চু দাস।
রোববার বাচ্চু দাস অভিযোগ করে বলেন, গত ২ মে শার্শার নাভারন বাজারের মোটরসাইকেল ব্যবসয়ি মাসুদ রানা তার পিতা মাতাকে ভারত পাঠানোর জন্য ৩৮ হাজার টাকা নেয়। তাদের পাসপোর্টে সমস্যা থাকায় চোরাইপথে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগেও মাসুদ আমাদের অনেক আত্নীয় স্বজনকে ভারত পাঠিয়েছে। এবার সে টাকা নিয়ে বিগত ৪ মাস অতিবাহিত হতে গেলেও তারপরও সে আমাদের টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করছে।
নাভারন এর জনৈক এক ব্যবসায়ি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাসুদ এর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায়। সে দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানি ব্যবসা করে। সে নামে মাত্র ইয়ামার শোরুম দিয়ে মোটরসাইকেল ব্যবসার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। সে এই শোরুম ব্যবহার করে এর অন্তরালে নারী শিশু পাচার করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এছাড়া সে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে মোটরসাইকেল এনে ইঞ্জীন চ্যাসিস পাংচ করে নাম্বার বসিয়ে বিক্রি করে থাকে। সে ওই কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় মদ ফেনসিডিল সহ নানা ধরনের পণ্য চোরাইপথে বাংলাদেশে এনে ওই শোরুম ব্যবহার করে ব্যবসা করে থাকে।
এ বিষয় মাসুদ রানার সাথে কথা বললে সে বলে বাচ্চুর পিতা মাতাকে চোরাইপথে ভারত পাঠানোর জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল ৩৮ হাজার। তাকে সীমান্ত কড়াকড়ি থাকায় পাঠানো যায়নি। সে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবে। তবে সে নিজে টাকা গ্রহন করে নাই। ওই টাকা অন্য একজন নিয়েছিল। আমি তাদের সাথে কথা বলেছি টাকা এক সপ্তাহর মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন