শাহাবুউদ্দীন পিয়নকে ঘুষ দিলেই,এক নিমেষেই সকল সমস্যার সমাধান,এ দেখি সূর্যের থেকে বালি গরম, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজস্ব বোর্ডে ভ্যাট সংক্রান্ত, যেকোনো জটিল ও কঠিন বিষয়ে টাকার বিনিময়ে এক নিমিষেই সব সমাধান করেন এই পিয়ন।
বলছিলাম লালবাগ জোনের কাস্টম অফিসের পিয়ন শাহাবুদ্দিনের কথা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মালিক ও কর্মচারীগণ এই অফিসে ভ্যাট দিতে আসলেই গুনতে হয় টাকা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বাক্ষর দিলেও তার কাছে পাঠিয়ে দেয় সিল মারার জন্য, তখনই শুরু হয় শাহাবুউদ্দিনের তেলেসমাতি খেলা, তিনি আবার নতুন করে যাচাই-বাছাই করেন কোথায় থেকে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে। সবকিছু সঠিক থাকা সত্ত্বেও তাকে দিতে হবে সর্বনিম্ন ১থেকে২ হাজার টাকা। আর এই টাকা না দিলে তিনি সিল মারবেন না। এবং তার প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়ে দেবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিল গালা করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
যেমনটি বলেছিলেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন জন ভুক্তভোগী। উল্লেখ্য যে,মূল্য সংযোজন কর শুল্ক আইন ২০১২ অনুসারে সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর যাদের বার্ষিক বিক্রয় মূল্য এক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তাদের ভ্যাট মুক্ত করা হয়েছে অথাৎ প্রতিমাসে ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে জিরো পার্সেন্টে রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
আর এই সুযোগ শাহাবুদ্দিন কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক কে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তার পকেটে। সাংবাদিক এই বিষয়ে জানতে গেলে, সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই সামান্য চাকুরী করে গাজিপুরে আলিশান বাড়ি এবং ব্যাংকে নামে বে-নামে রয়েছে তার কোটি টাকা। ফ্যাসীবাদী সরকারের আমলে তিনি গাজিপুরে কর্মরত ছিলেন সেখান থেকে অপকর্মে লিপ্ত থাকায় তাকে ঢাকার আজিমপুর সার্কেলে বদলী করা হয় এখানে এসেই সে শুরু করে একক রাজত্ব তার খুটির জোর কোথায় তা জানতে ২য় পর্বে আসছে বিস্তারিত।
মন্তব্য করুন