বাংলাদেশবর্তমানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের চরম পর্যায়ে রয়েছে। দেশজুড়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি থমকে দাঁড়িয়েছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ধস নামার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ সংকুচিত হচ্ছে, যা শিল্প উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। গার্মেন্টস পল্লিতে সহিংসতা এবং অর্থনৈতিক জোনগুলো বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে শ্রমিক থেকে শুরু করে পেশাজীবীরা কর্মসংস্থানের অভাবে ভুগছেন।
অর্থনীতিতে স্থবিরতা কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং সামাজিক স্থিতিশীলতাতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সহিংসতা এবং বিভিন্ন সমস্যা গার্মেন্টস শিল্পকে অচল করে তুলেছে। অনেক মালিক প্রতিষ্ঠান এবং শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে বিদেশে কর্মী প্রেরণ এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সেও প্রভাব পড়বে। উপরন্তু, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসের অপবাদে বিদেশে আমাদের শ্রমিকদের কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে, যা দেশের বৈদেশিক আয় হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন ব্যাহত হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ থমকে আছে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ অপরিহার্য, কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতার কারণে সে পরিবেশ বজায় রাখা যাচ্ছে না।
বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ইতিবাচক না থাকলে ভবিষ্যতে বৈদেশিক কর্মী পাঠানো এবং বৈদেশিক আয়ের ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশিদের উপর সন্ত্রাসবাদের অপবাদ চাপিয়ে দেওয়া হলে আরও সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
কৃষিখাতেও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, যার ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঝামেলা ও জোটগত সংঘাতের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এই সংকট নিরসনে সেনা বাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপ দরকর।
রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতার দয় উপদেষ্টা পরিষদের পদত্যাগ করে নতুন নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি করা।
এই পরিবর্তন সংকট নিরসনে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে দেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।
মন্তব্য করুন