প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ মাগুরা, বার্ষিক কোয়ালিফাইং ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের (ডিএএমএস) পরীক্ষায় বই খুলে ও ফটোকপি কাগজপত্র নিয়ে নকল চলছে দেদারসে। ম্যাজিস্ট্রেট গত শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার শেষে কলেজে যায়। কলেজ হলো মাগুরা সদর উপজেলার কছুন্দী ইউনিয়নের রামনগর হাইওয়ে পুলিশের থানার পাশে। গত শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ৯ টা হতে ১২ টা পর্যন্ত। সাংবাদিকদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও স্যাররা যোগসাজশে নকল দিয়ে সহযোগিতা করে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে। যেটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্র দ্রোহী অনিয়ম।
পরীক্ষার হলে প্রবেশের বিষয় নিয়ে দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আকরাম হোসেন ইকরাম ও দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকা ও সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার সাংবাদিক রনি আহমেদ রাজু মুঠোফোনে জানান, গতকাল শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ১১ টার সময় প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করে পরীক্ষার কোন হলকক্ষে আমাদের ২ জন সাংবাদিকের পরিচয় পেয়েও ঢুকতে দেয়নি। তিনি এসময়ে আরও কিছু অবান্তর প্রশ্ন ও কথাবার্তা বলেছেন যেটা সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরায় রেকর্ডিং হয়ে গেছে। এজন্য সাংবাদিকদের দাবি পরীক্ষা হলে ৩ ঘন্টায় ম্যাজিস্ট্রেট নিজে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করলে আসল সত্য ঘটনা এবং নকল মুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র হবে।
এসময়ে দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক লিটু মুঠোফোনে, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রনি আহমেদ রাজুকে বলেন, আমি গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি মাগুরা প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার হলে ব্যাপক অনিয়ম চলছে। এদিকে সাংবাদিক রনি আহমেদ রাজু ও সাংবাদিক আকরাম হোসেন ইকরাম পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে গেলে তাদের দু’জনকে বাঁধা দেয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবুল আক্তার।
প্রফুল্ল সিংহ আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বাবুল আক্তার সাংবাদিকদের ক্যামেরায় কোন বক্তব্য দিতে নারাজ প্রকাশ করেছেন।