ইব্রাহিম ঈশান যশোর।।
যশোরে সৎ মায়ের হাতে এক শিশুর মৃত্যু, শিশুটির নাম জোনাকি সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো । বাবা শাহীন তরফদারের সাথে মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। পরে শিশুটির মা কোহিনুর তুরস্কে চলে যান কাজের সন্ধানে। জোনাকির এক ভাই তিন বোনের সংসার দেখাশোনা করেন বেনাপোলের পোড়াবাড়ি গ্রামের দাদী সুফিয়া বেগম।
জোনাকির বাবা শাহীন সরদার আবার বিয়ে করেন যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়ার নার্গিস বেগম নামের এক নারীকে। ঈদের আগে জোনাকি এসেছিলেন বাবার কাছে। বাবা ঈদের আগে পোশাক কিনে দেবেন। কিন্তু সৎ মা নার্গিস তাকে হত্যা করে, বাড়ির পাশের পুকুর থেকে জোনাকির মরাদেহ পাওয়া যায়।
জোনাকির ভাই তাওহিদ হোসেন চয়ন বলেন, বছর পাঁচেক আগে আমার মায়ের সাথে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আমার মা এখন তুরস্কে রয়েছেন। বাবা সৎমা নার্গিস বেগমকে নিয়ে রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত পাঁচদিন আগে জোনাকি বেনাপোল পোড়াবাড়ি থেকে বাবার রেলগেটের বাসায় বেড়াতে আসে। সোমবার সকাল দশটা থেকে বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
মঙ্গলবার দুপুরে বাবার বাসার পাশে পরিত্যক্ত পুকুরপাড় থেকে জোনাকির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার অভিযোগ, সৎমার সাথে আমাদের বণিবনা হচ্ছিল না। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে এবং ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে আমার সৎ মা জড়িত।’
এতটুকু শিশুকে হত্যা করতে একটুও মন নরম হলনা নার্গিসের, কি পাষণ্ড। জোনাকির দাদী কেঁদে কেঁদে বলছে, ‘আমি ওকে এত ভালবাসি, চোখের আড়াল হতে দেই না। জোনাকি আমাকে বলে দাদী আমি লেখাপড়া শিখে বড় হয়ে তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করব। আজ আমার প্রিয় নাতনীর মৃত্যু হল। আমি কি নিয়ে বাঁচব এই নিকৃষ্ট কাজের জন্য সঠিক বিচার হয়।
মন্তব্য করুন